ঢাকা , সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ , ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈল ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে নথিপত্র আত্মসাৎতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে 


আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-২০ ২১:৫৩:০৯
রাণীশংকৈল ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে নথিপত্র আত্মসাৎতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  রাণীশংকৈল ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে নথিপত্র আত্মসাৎতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে 
 
 
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
 
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নেরল ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নথিপত্র আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ জুলাই) এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রমজান আলী।
 
 
জানা গেছে, দাতা সদস্য রমজান আলীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ সহকারী শিক্ষক ওহিদুল ইসলামকে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। ঐই সময় প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ ২ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে সকল আসবাবপত্র ও কাগজপত্র ওহিদুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেন। ওহিদুল ইসলাম একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে ৪৮টি উঁচু বেঞ্চ, ৪৮টি নিচু বেঞ্চ, ৪টি চেয়ার, ৪টি টেবিল, ৬টি হাজিরা রেজিস্টার, ২টি রেজুলেশন বহি, ৮টি অন্যান্য রেজিস্টার খাতা, ১টি ঘণ্টা এবং ৪ সেট তালা-চাবিসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্র ও কাগজপত্র বুঝে নিয়ে অঙ্গীকারনাময় স্বাক্ষর করেন। ঐই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো.কুশুম উদ্দিন, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর দাতা সদস্যপদ শূন্য হওয়ায় একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে রমজান আলীকে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য নির্বাচিত করা হয়। সে সময় ওহিদুল ইসলাম অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন হারুনুর রশিদ।
 
 
এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে যে, ওহিদুল ইসলাম,দাতা সদস্য নির্বাচনের রেজুলেশন বহি এবং বিদ্যালয়ের গত প্রায় ১২ বছরের হিসাব-নিকাশ সহ সমস্ত কাগজপত্র আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও, তিনি নিজেকে ওই তারিখেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখিয়েছেন, যা একটি বড় ধরনের অনিয়ম।
 
 
এছাড়া তার চাকরি সূত্রে তারিখ ও সালের অনেক গরমিল রয়েছে। রমজান আলী জানান, ওহিদুল ইসলাম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করান। এমনকি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের শিক্ষা তথ্য বিবরণীতে ওহিদুল ইসলামের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের তারিখ ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেখানো হয়েছে।
 
 
ওহিদুল ইসলাম ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার পর ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলশিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ছিলেন। সেখান থেকে ১৬ই ফেব্রুয়ারি বদলি হয়ে প্রয়াগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। 
 
 
এনিয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী বাদি হয়ে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে নির্বাহী অফিসার তাকে শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে বলেন।
 
 
এবিষয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী জানান, আমি অনেক দিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ওহিদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
বর্তমানে এ সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
 
 
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওহেদুল'এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। 
 
 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মুঠো ফোনে জানান, আমি নতুন এসেছি এটি আপনার কাছে শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
 
 
 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ